প্রতি বছরের ন্যায় সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এ বছরও ভোলায় রোজা রেখেছেন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। ১ মার্চ (শনিবার) ভোররাতে সেহরি খেয়ে রোজা রেখেছে সাত উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ।
এরা মূলত শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বরী দরবার শরীফ ও চট্রগ্রামের সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারী। এরা ভোলার জেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে বসবাস করেন। তবে সবচেয়ে বেশি অনুসারী রয়েছে জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায়। এই উপজেলার টবগী ও মুলাইপত্তন গ্রামেই রয়েছে তাদের প্রায় তিন হাজার অনুসারী।
বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী গ্রামের বাসিন্দা ও সুরেশ্বরী দরবার শরীফের অনুসারী মোঃ সুমন মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, তাদের প্রায় তিন হাজার অনুসারীরা শুক্রবার রাত ৯ টায় প্রথম তারাবি নামাজ আদায় করেন এবং শনিবার ভোররাতে সেহরি খেয়ে আজ প্রথম দিনের মতো রোজা রেখেছেন।
সুরেশ্বরী দরবার শরীফ ও সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরীফ অনুসারী এবং বোরহানউদ্দিন উপজেলার মুলাইপত্তন গ্রামের আমিন মিয়া চৌকিদার বাড়ি দরজা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আনোয়ার হোসেন জানান, প্রতি বছরের মতো এ বছরও তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রেখেছেন। আজ শনিবার থেকে তাদের প্রায় পাঁচ হাজার অনুসারী রোজা রেখেছেন।
তিনি আরও জানান, ভোলা সদর উপজেলা, বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান, তজুমদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার ১৪ টি গ্রামে সুরেশ্বরী দরবার শরীফ ও সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরীফ অনুসারী মানুষের সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অনুসারী রয়েছে বোরহানউদ্দিন উপজেলায়।